ছানা বাংলা উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারা কাসমুকা, ওয়াতা আলা জাদ্দুকা, ওয়া জাল্লা ছানা-উকা ওয়া লা-ইলাহা গায়রুক।
৪) ইমাম যখন দ্বিতীয় তাকবির দিবে তখন মুক্তাদী অনুচ্চ স্বরে হাত বাধা অবস্থায় “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবির দিবে এবং প্রতিদিন নামাজে যে দুরূদ পড়ি সেই দুরূদ পড়বে।
আল্লাহুম্মা সল্লিয়ালা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীম, ইন্নিকা হামিদুম্মাজিদ।
৫) ইমাম যখন তৃতীয় তাকবির দিবে তখন মুক্তাদী অনুচ্চ স্বরে হাত বাধা অবস্থায় “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবির দিবে এবং দোয়া পড়বে।
আল্লাহুম্মাগফিরলি হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শা-হিদিনা ওয়া গায়েবিনা ওয়া ছগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উংছানা, আল্লাহুম্মা মান আহ ইয়াইতাহু মিন্না ফা আহয়িহি আলাল ইসলাম, ওয়া মাংতা ওয়াফফাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ইমান।
হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত এবং মৃতদের, উপস্থিত এবং গায়েবদের, ছোট ও বড়দের এবং আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাকে জীবিত রাখবেন তাকে ইসলামের ওপরই জীবিত রাখুন। যাকে মৃত্যু দান করবেন তাকে ইমানের সাঙ্গেই মৃত্যু দিন।
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ আলহু লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহু লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহু লানা শা-ফিআও ওয়া মুশাফ্ফাআ।
বাংলা উচ্চরণ: আল্লাহুম্মাজ আলহা লানা ফারাতঁও ওয়াজ আলহা লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজ আলহা লানা শা-ফিআতাঁও ওয়া মুশাফ্ফাআহ।
৬) ইমাম সাহেব চতুর্থ তাকবির দিয়ে হাত বাধা অবস্থায় প্রথমে ডানে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে সালাম ফিরাবে এবং হাত বাধা অবস্থাতেই “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে বামে সালাম ফিরাবে। মুক্তাদীরাও ইমামের সাথে তাকবির বলে হাত বাধা অবস্থাতেই প্রথমে ডানে এবং পরে বামে সালাম ফিরিয়ে হাত ছেড়ে দিয়ে নামাজ শেষ করবে।
এক নজরে জানাজার নামাজের নিয়ম
১) নিয়ত করা
২) তাকবির বলে হাত বাধা এবং ছানা পড়া
৩) দ্বিতীয় তাকবির বলে দুরূদ শরীফ পাঠ করা
৪) তৃতীয় তাকবির বলে দোয়া পড়া
৫) চতুর্থ তাকবির বলে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা।
হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজ আদায় করে, সে এক কিরাত পরিমাণ সাওয়াব লাভ করে। আর যে ব্যক্তি কোনো মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজ আদায় করে এবং তার দাফনের কাজে অংশগ্রহণ করে, সে দুই কিরাত পরিমাণ সাওয়াব লাভ করে। এক সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ কিরাত কি? তখন হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন কিরাত হলো ওহুদ পাহাড়ের সমান। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোন মুসলমানের জানাজায় আল্লাহর সাথে শরীক করেনি এমন চল্লিশজন লোক অংশগ্রহন করে জানাজার নামাজ আদায় করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদের সুপারিশ নিশ্চয়ই কবুল করবেন। (সহীহ মুসলিম)
এক মুসলমানের উপর অন্য মুসলমানের ৬টি হক রয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো কোন মুসলমান মারাগেলে তার জানাজায় শরিক হওয়া।
আরও পড়ুন: সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম