স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পেয়ারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ১০০ ক্যালোরি এবং ২০ গ্রামের মত শর্করা থাকে একটি মাঝারি আকারের পেয়ারার মধ্যে। চর্বির পরিমান ১.৬ গ্রাম যা পরিমাণে খুবই কম এবং ৯ গ্রাম ফাইবার থাকে। একটি মাঝারি ধরণের পেয়ারায় ৪-৫ গ্রাম আমিষ থাকে।
পেয়ারার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ:
➤ ভিটামিন ‘সি’ শরীরের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস ধ্বংস করে শরীর সুস্থ রাখে।
➤ পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’।
➤ আরো আছে , ফসফরাস, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন।
➤ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
➤ পেয়ারা রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখার মাধ্যমে কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে।
➤ ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার রোগের নিরাময়ে পেয়ারা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
➤ হাঁটুব্যথা নিরাময়ে সহায়তা করে।
➤ পেয়ারায় উপস্থিত ফাইবার শরীরের চিনির শোষণ কমাতে পারে। ফলে টাইপ – ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে নিয়মিত পেয়ারা খেলে।
➤ পেয়ারা সর্দি-কাশি ও আমাশয় নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সতর্কতা:
# যদি আপনার পেট ফাঁপানোর সমস্যা থাকে, তাহলে কম পেয়ারা খান। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ফ্রূকটোজেন। তাই বেশি খেলে পেট ফুলে যাবে।
# আইবিএস বা ইরিটেটেড বাওয়েল সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘন ঘন পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়। পরিমিত পরিমাণে পেয়ারা খাওয়া এর ফাইবার হজমে সাহায্য করে, কিন্তু যদি আপনার আইবিএস সমস্যা থাকে তাহলে পেটের ব্যথা বাড়তে পারে।
# যদিও পেয়ারায় চিনির পরিমান কম, তার পরেও ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৯ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিমিত পরিমাণে পেয়ারা খাওয়া উচিত। ফলে বেশি পেয়ারা খেলে সুগার বেড়ে যাবে।